ইসলামিক উক্তি, বানীসমূহ। islamic bani.

১.  পরশ্রীকাতর লোভী ব্যাক্তি কখনোই শান্তি পায় না।

------- (রাবেয়া বসরী)


২.  মৃত্যু এসে যখন মাথায় হাত রাখে, তখন বাদশাহ ফকির উভয়েই সমান হয়ে যায়; কাউকে পার্থক্য করা যায় না।

------- (শেখ সাদী)


৩.  যিনি দান করে তার প্রতিদান গ্রহণ করেন না, তিনি প্রকৃত পুরুষ। আর যিনি দান করে তার প্রতিদান গ্রহণ করেন তিনি অর্ধ পুরুষ। আর যিনি দান করেন না, কেবল দান গ্রহণ করেন, তিনি আদৌ পুরুষের মধ্যে গণ্য নন।

------- (আবু হাফস হাদ্দাদ)


৪.  পাপ যতই ক্ষুদ্র হোক তা থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করিও। আর পুণ্য যতই ক্ষুদ্র হোক, তা আমল করার চেষ্টা করিও।

------- (ইমাম গাজ্জালী)


৫.  যে কাজ করতে তোমার মনে সঙ্কোচ আসে, প্রকাশ করতে ভয় পাও, সেটাই পাপ। 

------- (জুনায়েদ বোগদাদী)


৬.   বিনয় এমন একটা সম্পদ যা দেখে কেউ হিংসা করতে পারে না।

------- (ইমাম শাফেয়ী)


৭. কারো উপরে বেশি নির্ভরশীল হয়ে যেয়ো না। মনে রেখো, অন্ধকারে তোমার নিজের ছায়াও তোমাকে ছেড়ে চলে যায়।

------- (ইমাম ইবনে তাইমিয়্যা)


৮.  প্রকৃত শিক্ষা সেটাই যা দ্বারা উপকৃত হওয়া যায়। সেটা প্রকৃত শিক্ষা নয় যা শুধু মুখস্থ রাখা হয় কিন্তু কোন কাজে লাগানো যায় না।

------- (ইমাম শাফেয়ী)


৯.শক্তির দ্বারা যে আনুগত্য লাভ হয় তা ক্ষণস্থায়ী, আর ভালবাসার মাধ্যমে যে আনুগত্য অর্জিত হয় তাই চিরস্থায়ী থাকে। 

------- (ইবনে জরীর)


১০.তুমি যখন কোন দুর্বলের উপর হাত উঠাও তখন একথা ভুলে যাও কেন যে, এই মানুষটিকে যিনি সৃষ্টি করেছেন তিনি তোমার চেয়ে অনেক বেশি ক্ষমতার অধিকারী।

------- (ওমর ইবনে আব্দুল আজীজ)


১১.  আপনার চিন্তাগুলোকে বিশুদ্ধ পানির চেয়েও পরিষ্কার রাখুন। বিন্দু বিন্দু পানি কণা যেমন সমুদ্র তৈরি করে তেমনি ভাবে আপনার চিন্তাগুলো তৈরি করে আপনার চরিত্রকে,আপনার বিশ্বাসকে।

___হযরত আলী (রাঃ)


১২.  টাকার গরমে যে ব্যক্তি অহংকার করে তার সামনে অহংকার করাই বিনয়।

------- (ইমাম গাজ্জালী)


১৩.  যদি আপনার চাইতে বয়সে বড় কারো সাথে সাক্ষাত হয় তাহলে তাকে শ্রদ্ধা করুন নিজেকে এই বলে যে, দ্বীনদারী এবং সৎকাজে তিনি আমাকে হারিয়েছেন।

আপনার চাইতে বয়সে ছোট কারো সাথে দেখা হলে তাকে সম্মান করুন নিজেকে এই বলে যে, পাপকাজে আমি তাকে হারিয়েছি।

------- (বাকর ইবনে আবদুল্লাহ আল-মুজনি)


১৪.  মানুষ কি বলে, সেটা নিয়ে চিন্তিত হয়ো না। ওসব ভেবে ভেঙে পড়ো না। তুমি তোমার পথে অটল 

থাকে। নিজেকে এমনভাবে গড়ে তোলো, যেন মানুষ তোমার মুখাপেক্ষী হয়ে তোমার কাছে ছুটে আসে।

------- (ইমাম আবু হানিফা)


১৫.   “সেই ব্যক্তির কাছ থেকে দূরে থাকুন যে ভালোবাসে তার মতামত সবাই অনুসরণ করুক, যে পছন্দ করে তার অভিমত সবাই জানুক এবং তা ছড়িয়ে যাক।”


ইমাম সুফিয়ান আস সাওরি (রাহিমাহুল্লাহ)


১৬.   “দুনিয়ার জীবনকে আখিরাতের জন্য বিক্রি করলে আপনি দুই জীবনেই জয়ী হবেন।

আখিরাতের জীবনকে দুনিয়ার জন্য বিক্রি করলে আপনি দুই জীবনেই পরাজিত হবেন।”


— হাসান আল-বাসরি (রাহিমাহুল্লাহ)


১৭.“আপনি যখন দরজায় দাঁড়িয়ে কড়া নাড়ছেন, তখন সেই কাজটিও দরজা খুলে যাওয়ার একটি অংশ; আপনি যখন কোন যাত্রাপথে তখন রওয়ানা হওয়ার মাঝেই আপনার যাত্রা শুরু হয়ে গেছে, যদি কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছতে না-ও পারেন তবু চিন্তিত হবেন না। সময় নষ্ট করা বন্ধ করুন, মৃত্যু আপনার জন্য অপেক্ষা করছে। এটাই ছিলো ইমাম গাজ্জালীর মূল বার্তা।”

শাইখ হামজা ইউসুফ

 

১৮.  “তিনি যখন অপ্রাপ্তির বুঝটি আপনার জন্য উন্মুক্ত করে দেন, 

তখন অপ্রাপ্তিটাও প্রাপ্তির সমান হয়ে যায়।”


ইবনু আতা’ইল্লাহ আল ইসকান্দারী (রাহিমাহুল্লাহ)


১৯.   “সে কী পেলো যে আল্লাহকে হারালো ?

সে কী হারালো যে আল্লাহকে পেলো?”

ইবনু আতা’আল্লাহ আল ইসকান্দারি (রাহিমাহুল্লাহ)


২০.  এক ব্যক্তি আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহার কাছে এসে জিজ্ঞাসা করলো,

“আমি কখন জানতে পারবো যে আমি দ্বীনদার?”


তিনি উত্তর দিলেন,

“যখন আপনি উপলব্ধি করবেন যে আপনি একজন গুনাহগার।”


সে জিজ্ঞাসা করলো,

“আর আমি কখন বুঝবো যে আমি একজন গুনাহগার?”


আয়েশা (রা) উত্তর দিলেন,

“যখন আপনি মনে করবেন আপনি একজন দ্বীনদার।”


[তানবিহ আল-গাফিলিন, ২৫১]


21. “একটি জলবিন্দুর সুখ নদীর পানিতে মিশে হারিয়ে যাওয়ায়।”

ইমাম আল গাজ্জালি


22.আমার এক বন্ধু আমাকে প্রশ্ন করেছিলো, “কাউকে ক্ষমা করা, কোন কিছুর দাবী ছেড়ে দেয়া কেন এত কঠিন?”

আমি একটা দীর্ঘশ্বাস নিয়ে উত্তর দিয়েছিলাম, “হায় ! আমি তো শিখেছি *সবকিছুই* খুব কঠিন যতক্ষণ না পর্যন্ত আল্লাহ তা আমাদের জন্য সহজ করে দেন। তাই আমাদেরকে অবশ্যই তার কাছে *ভিক্ষা* চাইতে হবে যেন তিনি আমাদের জন্য কাজগুলোকে সহজ করে দেন।”

উস্তাদা ইয়াসমিন মোজাহেদ


23.“আপনি যখন কষ্ট-যন্ত্রণায় থাকবেন, তখন নিজের কষ্টের দিকে মন দিবেন না, তার দিকেই মনযোগ দিন যিনি সকল কষ্টকে দূর করে থাকেন। আপনি যখন জীবনে কোন অবস্থায় আটকে যাবেন, তখন সামনের লোহিত সাগরের অকুল পাথারে চেয়ে থাকবেন না, বরং তার দিকে তাকান যিনি এটিকে দু’ভাগ করে পথ তৈরি করে দিতে পারেন।”

উস্তাদা ইয়াসমিন মোজাহেদ


24.“ভরপেট খাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক হোন কেননা এটা অন্তরকে কঠিন করে দেয়। সেই সাথে রাগকে সংযত রাখুন এবং অতিরিক্ত হাসাহাসি করবেন না, কেননা মাত্রাতিরিক্ত হাসাহাসিতে অন্তর মরে যায়।”

ইমাম সুফিয়ান আস সাওরি (রাহিমাহুল্লাহ)


25.একদিন ইমাম আহমাদের ছেলে আব্দুল্লাহ তাঁকে বললেন, “আব্বা, আমাকে উপদেশ দিন।”

তিনি উত্তর দিলেন, “বাবা, সবসময় ভালো নিয়্যাত রাখবে। তুমি যতক্ষণ ভালো কাজের নিয়্যাত রাখবে, ততক্ষণ ভালো অবস্থায় থাকবে।”

[আল আদাব আশ-শারিয়্য্যাহ; ১/১০২]


26.“সেই ব্যক্তিই অভিশপ্ত যে মরে যায় অথচ তার খারাপ কাজগুলো পৃথিবীতে রয়ে যায়।”

— আবু বকর (রাদিয়াল্লাহু আনহু)


27.“একা একা লাগে বলেই বিয়ে করে ফেলবেন না,

তখনই বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিন যখন আপনি প্রস্তুত।”

— উস্তাদ আবদুল বারি ইয়াহইয়া


28. “আমি আল্লাহর কাছে ২০ বছর ধরে একটা জিনিস চাইছি যা আমি এখনো পাইনি। তবুও আমি তা পাওয়ার আশা ছেড়ে দিইনি।”

– মুওয়াররাক আল আজলি 

[আদাব শারিয়্যাহ, ২/২৮৬]


29. “আপনি যখন আপনার চোখের দৃষ্টিকে অবনত করেন, তখন আপনার মর্যাদাকে উন্নত করেন।”

— আবদুল বারী ইয়াহইয়া


30.“আল্লাহ যখন আমাদেরকে কিছু দেন, সেটা আমাদের প্রতি তার উপহার।

যখন কিছু থেকে আমাদেরকে বঞ্চিত রাখেন, সেটাও আসলে একটি উপহার।”

— ডক্টর উমার আব্দুল্লাহ


31. “আপনার নেক আমল হচ্ছে আপনার আখিরাতের সম্পদ, তাই সেগুলোর পর্যাপ্ত সঞ্চয় নিশ্চিত করুন।”

–– খাওলা বিনতে ইয়াহিয়া


32. “আপনার বলা কথাগুলোই প্রকাশ দিবে আপনার অন্তরের গভীরে কী আছে।”

— আবদুল কাদির জিলানী (রাহিমাহুল্লাহ)


33.জ্ঞান হলো সূর্যের মত, তা থেকে উৎসারিত আলো সুন্দর চরিত্র।

— ইমাম সুহাইব ওয়েব


34. “আপনি থাকুন বা না থাকুন ইসলাম অবশ্যই জয়ী হবে।

কিন্তু ইসলামকে ছাড়া আপনি হবেন পথভ্রষ্ট এবং পরাজিত।”


— শাইখ আহমেদ দিদাত (রাহিমাহুল্লাহ)


35.‘বান্দা আল্লাহর সামনে দু’বার হাজির হয় : প্রথমবার, যখন সে সালাতে দাঁড়ায়। আর দ্বিতীয়বার, যখন কিয়ামতে হাশরের ময়দানে দাঁড়াবে। যে ব্যক্তি প্রথমবার দাঁড়ানোর হক যথাযথভাবে আদায় করতে পারবে, তার জন্য দ্বিতীয়বার দাঁড়ানো সহজ হবে । আর যে ব্যক্তি প্রথমবারেরটা সহজ ভেবে পূর্ণ গুরুত্ব দিবে না, তার জন্য দ্বিতীয়বারের দাঁড়ানোটা কঠিন হবে।’

— ইমাম ইবনুল কাইয়িম (রাহিমাহুল্লাহ)

[ আল ফাওয়া’ঈদ]


36. “আপনি যা ভালোবাসেন তা অর্জন করতে হলে আপনাকে অবশ্যই আপনার অপছন্দের বিষয়টিতে ধৈর্যধারণ করতে হবে।”

– ইমাম গাজ্জালী


37. “হাজার জন জ্ঞানীর সাথে যুক্তিতর্কে হয়তো আমি জিতে যাব, কিন্তু একজন মূর্খের সাথে আমি কখনোই পেরে উঠবো না।”

– ইমাম শাফিঈ (রাহিমাহুল্লাহ)


38. তুমি যদি কারও উপকার করো, তবে সাবধান! কখনো তা কারও কাছে প্রকাশ করোনা। আর কেউ যদি তোমার উপকার করে, তবে সাবধান! কখনো তা ভুলে যেওনা।

------- (আবদুল্লাহ ইবনুল মুকাফফা)


39. বিনয় এমন একটা সম্পদ যা দেখে কেউ হিংসা করতে পারে না।

------- (ইমাম শাফেয়ী)


40. যে কাজ করতে তোমার মনে সঙ্কোচ আসে, প্রকাশ করতে ভয় পাও, সেটাই পাপ। 

------- (জুনায়েদ বোগদাদী)


41. পাপ যতই ক্ষুদ্র হোক তা থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করিও। আর পুণ্য যতই ক্ষুদ্র হোক, তা আমল করার চেষ্টা করিও।

------- (ইমাম গাজ্জালী)


42. “দুনিয়ার জীবনের তুচ্ছ আর ক্ষণস্থায়ী ভোগবিলাস ও আনন্দগুলো যেন আপনাকে মোহগ্রস্ত ও বিভ্রান্ত করতে না পারে এবং সবসময় আগামীকালের কথা বলতে থাকবেন না, কেননা আপনি জানেন না যে কখন আপনাকে আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়ে চলে যেতে হবে।”

– ইমাম আল-হাসান আল-বাসরী (রাহিমাহুল্লাহ)


43.“কিছু বিশেষ বিশেষ মানুষের সাথে ব্যক্তিগত সম্পর্ক থাকায় লোকে গর্ববোধ করে, অথচ আমাদের উচিত আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার সাথে নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে গর্ববোধ করা।”

– শাইখ আব্দুল নাসির জাংদা


44.. “আপনি যদি একটি জাতিকে কোনরকম যুদ্ধ ছাড়াই ধ্বংস করে দিতে চান, তাহলে তাদের তরুণ প্রজন্মের মাঝে অশ্লীলতা আর ব্যাভিচারের প্রচলনের ব্যবস্থা করে দিন।” 

– সুলতান সালাহ আদ-দ্বীন ইউসুফ আইয়ুবী (রহিমাহুল্লাহ)


45.“সুন্দর বিদায় হলো ক্ষতি না করে বিদায় নেয়া, 

সুন্দর ক্ষমা হলো বকা না দিয়ে ক্ষমা করা, 

সুন্দর ধৈর্য হলো অভিযোগ না রেখে ধৈর্য্ধারণ করা।”


— ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রাহিমাহুল্লাহ)


46.. “আমার আল্লাহ মাঝে মাঝে আমার পরীক্ষা নেন, 

কিন্তু সবসময় আমাকে সাহায্য করেন।”


— উরওয়াহ ইবনে যুবাইর (রাহিমাহুল্লাহ)


47.. একবার একজন আবিদ মানুষকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিলো, 

“কীভাবে আল্লাহকে ভালোবাসতে হয় আমাকে শেখান।” 

তিনি উত্তরে বলেছিলেন, 

“শিখিয়ে কারো মাঝে আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা তৈরি করা যায় না।”


— ইমাম ইবনুল কায়্যিম (রাহিমাহুল্লাহ)


48.. “অন্য কোন কিছুই একজন বান্দার অতটা বেশি প্রয়োজন নেই, 

যতটা বেশি প্রয়োজন সরল সঠিক পথের নির্দেশনা।”

— ইমাম ইবনুল কায়্যিম (রাহিমাহুল্লাহ)


49.. “যে এক ফোঁটা চোখের পানি মু’মিনের গাল বেয়ে নেমে যায় তা পৃথিবীর জমিনে ঝরে পড়া হাজার ফোঁটা বৃষ্টির পানির চাইতে বেশি কল্যাণময়।”


— ইবনে আল জাওযি (রাহিমাহুল্লাহ)


50.. “যে ব্যক্তি দাবী করে যে, সে এই দুনিয়া ও তার স্রষ্টাকে একই সাথে ভালবাসে সে আসলে মিথ্যা কথা বলে।”

–– ইমাম শাফি’ঈ (রাহিমাহুল্লাহ)


Collected by:  the front page

From: google

Author:NASIR UDDIN



No comments:

Post a Comment